পাঁচদিনের ভারত সফররত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম (১৭ ডিসেম্বর) কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে উপাচার্যকে অভ্যর্থনা জানান সেখানকার কিউরেটর ড. বৈশাখী মিত্র। রবীন্দ্রনাথের জন্মগৃহের নানা অংশ তিনি ঘুরে দেখেন, যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নানা স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে।

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে মতবিনিময় কালে প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিকর্মকে অম্লান রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কলকাতায় একই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের ঐক্যের সেতু। রবীন্দ্রনাথের নামে প্রতিষ্ঠিত দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এখানকার কলা ও চারুকলা অনুষদের সঙ্গে আমাদের অনুষদ সূমহের শিক্ষা-গবেষণাসহ সাংস্কৃতিক বিনিময় হতে পারে। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. সুবীর মৈত্র এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাসহ মিউজিওলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে আন্তঃসংযোগ তৈরির ব্যাপারে সহমত পোষণ করেন। অচিরেই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা, অর্থনীতি, সংগীত বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময়ের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গৃহীত হবে বলে তাঁরা সম্মত হন। দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, গবেষক বিনিময়ের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে পরিবর্তনমান বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও গবেষণায় অগ্রসরমানতা বজায় রাখা সম্ভব হবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম মনে করেন,

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে শিক্ষা-জ্ঞানের আদান-প্রদানের মাধ্যমে একদিকে যেমন শিক্ষার গুণগত মানের উন্নতি ঘটবে অন্যদিকে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বন্ধন আরো সদৃঢ় হবে। ভারত বাংলাদেশের মৈত্রির সমান্তরালে ভারত বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের সহযোগিতাসূত্র নির্মাণ সময়ের দাবি, এক্ষেত্রে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রভূত সম্ভাবনাময়।